ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
শিরোনাম ::
Logo জুড়ীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন Logo জুড়ী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন সভাপতি মাসুম রেজা, সম্পাদক মতিউর। Logo ‎মাধবপুরে বাসচাপায় কলেজ ছাত্র মোফাজ্জলের মৃত্যু। Logo আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির আড়ালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পিসিসিপির মানববন্ধন Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাজিপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। Logo রাজধানীর নিউ মার্কেটে সেনাবাহিনীর অভিযানে ১১০০ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার, ৯ জন গ্রেফতার Logo নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফিরছেন তারেক রহমান, হবেন প্রধানমন্ত্রী: হুমায়ূন কবির Logo জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় জামায়াত Logo ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল, অক্টোবর পর্যন্ত নতুন ভোটার: ইসি Logo বিকালে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা

করুন দশায় শহীদ জিয়া মেমোরিয়াল অরফানেজ ট্রাস্ট বাগেরহাট

১৯৯৪ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ১০ থেকে ১৮ বছর এতিম-দুস্থদের লালন-পালন ও সাবলম্বী করার জন্য জিয়া মেমোরিয়াল অরফানেজ ট্রাস্ট নামে প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

জেলার সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে ৩.৯০ একর জমিতে করা প্রতিষ্ঠানে ৫ কক্ষের অফিস ভবন, এতিম-দুস্থদের থাকার জন্য ৩০ শয্যা বিশিষ্ট দোতলা আবাসিক ভবন, ১৮ কক্ষের দোতলা প্রশিক্ষণ ভবন, একতলা ক্লিনিক ভবন, মসজিদ, পুকুর, দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ উপকরণ এবং ৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী সবই ছিল।


২০০০ সালে ৩০ জন এতিম ও দুস্থদের নিয়ে শুরু হয়। তারপর থেকে গড়ে ১৫ থেকে ২৫ জন এতিম ও দুস্থ নিয়ে ২০১১ পর্যন্ত চলছিল।
কিন্তু এখানে একটা ক্লিনিক চালু করার কথা থাকলেও কোনদিনই ক্লিনিকটি চালু হয়নি।
তবে বর্তমানে দেখলে মনে হয় যেন ভূতের বাড়ি। শ্যাওলা পড়া ভবন। ছাদ ও ছাদের পলেস্তার খসে পড়ছে, দেখার কেউ নেই। এর মধ্যে ২০১০ সালে ওমান সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়। তখন পতিত ফেসিস্ট আওয়ামী শাসন আমলে লুট পাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ছিল আওয়ামী লীগের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা।

অবিভাবক শূন্যতা এবং এলাকায় শিশুশ্রম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ২০১২ সালে ১২, ১৩ তে ১০, ১৪-তে ৬, ১৫-তে ৬, ১৬-তে ৫, ১৭-১৮ তে এ সংখ্যা ৩ জনে এসে দাঁড়িয়েছিল বর্তমানে ২ জন দারোয়ান ছাড়া কেউ নেই।
প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে ২০০৯ সালে প্রাক-প্রাথমিক এবং ২০১২ সালে মহিলাদের দর্জিবিজ্ঞান প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। প্রাক-প্রাথমিকে ৪ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুরা আসত দর্জিবিজ্ঞান কোর্সে ১৫ জন শিক্ষার্থী ছিল।
এই ট্রাস্টি বোর্ডে কারা আছে তার কোন হদিস নেই।


এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভালবেসে এই জমি তারা দান করেছিলেন জিয়া মেমোরিয়াল অরফানেস্ট রাষ্ট্রের নামে। এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে কয়েকটি ভবন। অথর্ব ও অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে এমন একটি প্রতিষ্ঠান আজ ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে।

দেখাশোনার কোন লোক আছে কিনা এলাকাবাসী জানে না। জমি দাতা এবং এলাকাবাসীর দাবি যত দ্রুত সম্ভব এই ট্রাস্টি বোর্ড পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হোক অন্যথায় তাদের জমি তাদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।


জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড ভোগকারী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম খান গতকাল শুক্রবার জিয়া মেমোরিয়াল অর্পনেস ট্রাস্ট পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর ও জমি দানকারী মুসলিম ও হিন্দুদের এক মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভালোবেসে মুসলমানও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা যে জমি দান করেছে তা নজিরবিহীন। অথচ অদক্ষ ও অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে আজ ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে হস্তক্ষেপ নিন এবং জনগণের ভালোবাসায় গড়ে ওঠা এই ট্রাস্টের দায়িত্ব যোগ্যদের হাতে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তিনি এলাকাবাসী কে আশ্বস্ত করেন, যে আশা নিয়ে আপনারা আপনাদের সম্পদ জিয়া মেমোরিয়াল অর্পনেস ট্রাস্ট এর নামে দান করেছিলেন তা যত দ্রুত সম্ভব সঠিক বাস্তবায়নের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুড়ীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

করুন দশায় শহীদ জিয়া মেমোরিয়াল অরফানেজ ট্রাস্ট বাগেরহাট

আপডেট সময় : ০৭:১২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

১৯৯৪ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ১০ থেকে ১৮ বছর এতিম-দুস্থদের লালন-পালন ও সাবলম্বী করার জন্য জিয়া মেমোরিয়াল অরফানেজ ট্রাস্ট নামে প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

জেলার সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে ৩.৯০ একর জমিতে করা প্রতিষ্ঠানে ৫ কক্ষের অফিস ভবন, এতিম-দুস্থদের থাকার জন্য ৩০ শয্যা বিশিষ্ট দোতলা আবাসিক ভবন, ১৮ কক্ষের দোতলা প্রশিক্ষণ ভবন, একতলা ক্লিনিক ভবন, মসজিদ, পুকুর, দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ উপকরণ এবং ৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী সবই ছিল।


২০০০ সালে ৩০ জন এতিম ও দুস্থদের নিয়ে শুরু হয়। তারপর থেকে গড়ে ১৫ থেকে ২৫ জন এতিম ও দুস্থ নিয়ে ২০১১ পর্যন্ত চলছিল।
কিন্তু এখানে একটা ক্লিনিক চালু করার কথা থাকলেও কোনদিনই ক্লিনিকটি চালু হয়নি।
তবে বর্তমানে দেখলে মনে হয় যেন ভূতের বাড়ি। শ্যাওলা পড়া ভবন। ছাদ ও ছাদের পলেস্তার খসে পড়ছে, দেখার কেউ নেই। এর মধ্যে ২০১০ সালে ওমান সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়। তখন পতিত ফেসিস্ট আওয়ামী শাসন আমলে লুট পাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ছিল আওয়ামী লীগের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা।

অবিভাবক শূন্যতা এবং এলাকায় শিশুশ্রম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ২০১২ সালে ১২, ১৩ তে ১০, ১৪-তে ৬, ১৫-তে ৬, ১৬-তে ৫, ১৭-১৮ তে এ সংখ্যা ৩ জনে এসে দাঁড়িয়েছিল বর্তমানে ২ জন দারোয়ান ছাড়া কেউ নেই।
প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে ২০০৯ সালে প্রাক-প্রাথমিক এবং ২০১২ সালে মহিলাদের দর্জিবিজ্ঞান প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। প্রাক-প্রাথমিকে ৪ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুরা আসত দর্জিবিজ্ঞান কোর্সে ১৫ জন শিক্ষার্থী ছিল।
এই ট্রাস্টি বোর্ডে কারা আছে তার কোন হদিস নেই।


এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ভালবেসে এই জমি তারা দান করেছিলেন জিয়া মেমোরিয়াল অরফানেস্ট রাষ্ট্রের নামে। এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে কয়েকটি ভবন। অথর্ব ও অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে এমন একটি প্রতিষ্ঠান আজ ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে।

দেখাশোনার কোন লোক আছে কিনা এলাকাবাসী জানে না। জমি দাতা এবং এলাকাবাসীর দাবি যত দ্রুত সম্ভব এই ট্রাস্টি বোর্ড পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হোক অন্যথায় তাদের জমি তাদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।


জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড ভোগকারী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম খান গতকাল শুক্রবার জিয়া মেমোরিয়াল অর্পনেস ট্রাস্ট পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর ও জমি দানকারী মুসলিম ও হিন্দুদের এক মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভালোবেসে মুসলমানও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা যে জমি দান করেছে তা নজিরবিহীন। অথচ অদক্ষ ও অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে আজ ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অনতিবিলম্বে হস্তক্ষেপ নিন এবং জনগণের ভালোবাসায় গড়ে ওঠা এই ট্রাস্টের দায়িত্ব যোগ্যদের হাতে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তিনি এলাকাবাসী কে আশ্বস্ত করেন, যে আশা নিয়ে আপনারা আপনাদের সম্পদ জিয়া মেমোরিয়াল অর্পনেস ট্রাস্ট এর নামে দান করেছিলেন তা যত দ্রুত সম্ভব সঠিক বাস্তবায়নের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।