
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানাধীন শেরপুর ঈদগাহ রোড আবাসিক এলাকায় এমদাদ মোহাম্মদ সিরাজের বাড়ীতে কতিপয় দুস্কৃতিকারী গত ৩জুলাই রাত ৩টার দিকে বসতঘরের গেইটের তালা কেটে বসত ঘরের দরজার সিটকারী ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বসতঘরে থাকা লোকদের ভয়ভীতি দেখাইয়া সর্বমোট ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার মূল্য অনুমান ২৩ লক্ষ টাকা ও নগদ ৬,লক্ষ ৯ হাজার টাকা লুন্ঠন করিয়া নিয়া যায়।
আজ দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা, পিপিএম জানান, মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার মামলা ৮, তাং-০৬/০২/২০২৫ ইং,৪৫৭/৩৯২ ধারায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন: রায়হান মিয়া, পিতা-ময়না মিয়া, সাং-কামরাখাইর, থানা-জগন্নাথপুর, জেলা-সুনামগঞ্জ, আক্কুল মিয়া ওরফে আকুল, পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-নওধার পূর্বপাড়া, থানা-বিশ্বনাথ, জেলা-সিলেট। সে বিশ্বনাথ থানার একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি, এছাড়া তার নামে ৮/১০টি গ্রেফতারী পরোয়ানা আছে। মোঃ আফাজ মিয়া, পিতা-সঞ্জব উল্লাহ,সাং-পারকুল, থানা-নবীগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ, মোঃ মনর মিয়া-পিতা মৃত সুজাত মিয়া, সাং কামড়াখাইর, থানা- জগণœাথপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ– তার বাড়ি থেকে দুটি দেশীয় পাইপগান, কাটার,সাবল ও মুখোশ উদ্ধার হয়। অশোক কুমার দে, তোফায়েল আহমদ তোফা- পিতা মৃত নূর মিয়া, সাং মোবারকপুর,থানা- ওসমানীনগর, জেলা- সিলেট। ১০/১৫ টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিল, দিনেশ কর্মকােরের দোকান থেকে ৪ ভরি ৭ আনা স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৮,০৬,৯৮২/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও উদ্ধার করা হয় ২টি পাইপগান, ৬রাউন্ড কার্তুজ,১ টি হাইড্রোলিক কাটার,১টি তালা ভাঙার শাবল, ডাকাতির সময় ব্যবহৃত মুখোশ, স্বণাংলংকার- ৪ভরি ৭ আনা,নগদ টাকা ৮লাখ ৬হাজার ৯শত ৮২ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার,একটি মোটরসাইকেল তাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায় ২১ জুলাই রাতে খলিলপুর ইউপির বাগারাই গ্রামে প্রবাসী আব্দুর রহিমের বাড়িতে সংঘটিত আরেকটি ডাকাতিতেও জড়িত।
আসামীদের মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।