ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

এ বছর নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ: প্রধান উপদেষ্টা

  • নিউজ ডেক্সঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৭১ বার পড়া হয়েছে

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বাঙালির সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, পাহাড় এবং সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষে বড় পরিসরে উৎসব পালন করছে। পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজ সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে, সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
প্রধান উপদেষ্টা শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব, বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের সবার আনন্দের দিন, বর্ষবরণের দিন। বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল কৃষি কাজের সুবিধার জন্য ‘ফসলি সন’ হিসেবে। এখনো এ দেশের কৃষকেরা বাংলা তারিখের হিসেবেই বীজ বোনেন, ফসল তোলেন। বাংলা নববর্ষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা। এখনকার আধুনিক সময়েও হালখাতার ঐতিহ্যকে ধরে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের হাট বাজারে, শহরে বন্দরে। নববর্ষের বৈশাখি মেলায়, বাংলাদেশের জেলায় জেলা উদ্যোক্তরা সারা দেশে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির হাড়ি পাতিল, খেলনা, হাত পাখা ইত্যাদি তৈরি করে নিজেদের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরেন এই দিনকে উপলক্ষ্য করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং একে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের এসব ঐতিহ্য যেন আমাদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। আমাদের সংস্কৃতি যেন আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি বিশ্বের দরবারে। বছরের এই দিনটিতে আমরা সুযোগ পাই আমাদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসবমুখর পরিবেশে তুলে ধরতে এবং পৃথিবীর সামনেই তুলে ধরতে।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। আমি নববর্ষের সব আয়োজক ও উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি। নববর্ষ ১৪৩২ আমাদের সবার জন্য শুভ দিনের সূচনা করুক, নববর্ষ আমাদের সবার জন্য নতুন ও গভীর আনন্দের উন্মোচন করুক– এই কামনা করছি।
ট্যাগস :

এ বছর নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বাঙালির সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, পাহাড় এবং সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষে বড় পরিসরে উৎসব পালন করছে। পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজ সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন। এবারের নববর্ষ নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে, সামনের দিকে এগিয়ে চলি। চলুন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
প্রধান উপদেষ্টা শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব, বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের সবার আনন্দের দিন, বর্ষবরণের দিন। বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল কৃষি কাজের সুবিধার জন্য ‘ফসলি সন’ হিসেবে। এখনো এ দেশের কৃষকেরা বাংলা তারিখের হিসেবেই বীজ বোনেন, ফসল তোলেন। বাংলা নববর্ষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হালখাতা। এখনকার আধুনিক সময়েও হালখাতার ঐতিহ্যকে ধরে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের হাট বাজারে, শহরে বন্দরে। নববর্ষের বৈশাখি মেলায়, বাংলাদেশের জেলায় জেলা উদ্যোক্তরা সারা দেশে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির হাড়ি পাতিল, খেলনা, হাত পাখা ইত্যাদি তৈরি করে নিজেদের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরেন এই দিনকে উপলক্ষ্য করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং একে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের এসব ঐতিহ্য যেন আমাদের নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। আমাদের সংস্কৃতি যেন আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি বিশ্বের দরবারে। বছরের এই দিনটিতে আমরা সুযোগ পাই আমাদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উৎসবমুখর পরিবেশে তুলে ধরতে এবং পৃথিবীর সামনেই তুলে ধরতে।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার। আমি নববর্ষের সব আয়োজক ও উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি। নববর্ষ ১৪৩২ আমাদের সবার জন্য শুভ দিনের সূচনা করুক, নববর্ষ আমাদের সবার জন্য নতুন ও গভীর আনন্দের উন্মোচন করুক– এই কামনা করছি।