
বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশটির জনগণের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে বলে মন্তব্য করেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। যে চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ নির্ধারণ বাংলাদেশের জনগণকেই ঠিক করতে হবে। নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইস্যুতে প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
শেখ হাসিনার পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনিসের নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে যখন তার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পিছু লেগেছে একদল।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আবারও উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন রাখেন এক সাংবাদিক। কেএফসিতে হামলা, উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিকে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে; এমন প্রশ্ন ছিল তার। প্রশ্নকারীর উদ্দেশে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে আমরা সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। প্রতিটি দেশের নাগরিকদেরই উগ্রবাদ ও সহিংসতা মোকাবিলা করতে হবে। আর, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশিরাই। জনগণই ঠিক করবে তারা কোন পথে এগোবে। গত ২০-২৫ বছরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে একটি জাতিকে ধ্বংস করতে পারে। তাই জনগণের বেছে নেওয়া পথই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি উঠে ব্রিফিংয়ে। গ্রেপ্তারি পরোয়ার বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া বলে জানিয়ে দেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।