ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

“হাকালুকি হাওরে তরমুজের কোটি টাকার স্বপ্ন, কিন্তু পথে হারাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার হাসি!”

হাকালুকি হাওর—প্রকৃতির কোলে জেগে ওঠা এশিয়ার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। এবার সেখানে কৃষকেরা লিখছে সোনালি ইতিহাস! তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য: বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন স্থানীয় চাষিরা। কিন্তু উন্নয়নের অভাবে স্বপ্নের ফসলই যেন আজ অভিশাপ! দুর্বৃত্ত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনা—মাঠে ফললেও বাজারে পৌঁছানোর আগেই পচে যাচ্ছে মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ।

“হাওরের মাটিতে রক্ত-ঘাম ঢেলে ফলাই, কিন্তু সড়ক না থাকায় ফসলের অর্ধেকই নষ্ট হয়,” বলছেন মো. রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় একজন কৃষক। “একটি ট্রাক ফসল নিতে গিয়ে তিন ঘণ্টা আটকে থাকে কাদায়। এভাবে কী করে স্বপ্ন দেখব?”

হাকালুকির উর্বর মাটিতে প্রতি মৌসুমে জন্মে প্রায় ৫০০ হেক্টর জুড়ে তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়া। কিন্তু সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে ৩০-৪০% ফসলই পচে যায়, যা বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা! স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাস্তা সংস্কার হলে শুধু কৃষকই নয়, পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি হবে চাঙ্গা।

প্রশ্ন এখন—কৃষকের এই রক্তঝরা পরিশ্রমের ফসল রক্ষায় কবে আসবে সোনালি সড়ক? উন্নয়নের অঙ্গীকার যেন হাওরের কাদায় ডুবে না যায়!

“স্বপ্নের ফসল, পথের বাধা—হাকালুকির কৃষকদের লড়াইয়ে যোগ দিতে হবে রাষ্ট্রকেই!”

ট্যাগস :

“হাকালুকি হাওরে তরমুজের কোটি টাকার স্বপ্ন, কিন্তু পথে হারাচ্ছে মিষ্টি কুমড়ার হাসি!”

আপডেট সময় : ০৭:০০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

হাকালুকি হাওর—প্রকৃতির কোলে জেগে ওঠা এশিয়ার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। এবার সেখানে কৃষকেরা লিখছে সোনালি ইতিহাস! তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য: বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন স্থানীয় চাষিরা। কিন্তু উন্নয়নের অভাবে স্বপ্নের ফসলই যেন আজ অভিশাপ! দুর্বৃত্ত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনা—মাঠে ফললেও বাজারে পৌঁছানোর আগেই পচে যাচ্ছে মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ।

“হাওরের মাটিতে রক্ত-ঘাম ঢেলে ফলাই, কিন্তু সড়ক না থাকায় ফসলের অর্ধেকই নষ্ট হয়,” বলছেন মো. রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় একজন কৃষক। “একটি ট্রাক ফসল নিতে গিয়ে তিন ঘণ্টা আটকে থাকে কাদায়। এভাবে কী করে স্বপ্ন দেখব?”

হাকালুকির উর্বর মাটিতে প্রতি মৌসুমে জন্মে প্রায় ৫০০ হেক্টর জুড়ে তরমুজ ও মিষ্টি কুমড়া। কিন্তু সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে ৩০-৪০% ফসলই পচে যায়, যা বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা! স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রাস্তা সংস্কার হলে শুধু কৃষকই নয়, পুরো অঞ্চলের অর্থনীতি হবে চাঙ্গা।

প্রশ্ন এখন—কৃষকের এই রক্তঝরা পরিশ্রমের ফসল রক্ষায় কবে আসবে সোনালি সড়ক? উন্নয়নের অঙ্গীকার যেন হাওরের কাদায় ডুবে না যায়!

“স্বপ্নের ফসল, পথের বাধা—হাকালুকির কৃষকদের লড়াইয়ে যোগ দিতে হবে রাষ্ট্রকেই!”