ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
Logo শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হাজী আব্দুর রহিম-এর মৃত্যু Logo পল্টনে ভবনে আগুন: প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে Logo আর্সেনাল ম্যাচের ১০ জনকে বেঞ্চে রেখে লিগে টানা হার পিএসজির Logo সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ২ জন: প্রতিবেদন Logo খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন মঙ্গলবার Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী এর মতবিনিময় সভা Logo জুড়ীতে তিন ইউনিয়নে বিএনপি সম্মেলন স্থগিত Logo “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব দেশ নতুন করে” – মৌলভীবাজারে ঐক্য ও সংকল্পের মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালিত Logo ২২বছর পর জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে কুমিল্লা Logo শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক হাজার শ্রমিকের উপস্থিতিতে মে দিবস উদযাপন

শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হাজী আব্দুর রহিম-এর মৃত্যু

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী আব্দুর রহিম (৭০)-সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে মৃত্যু বরণ করেছেন। আজ ৩ মে বাদ আছর মৃত: হাজী আব্দুর রহিম-কে শেরপুরস্থ তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

গুরুতর আহত আব্দুর রহিম-কে আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ( রেজিনং- ৪০৫০৩) ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ মে- ৩.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী হাজী আনহার আলী জানান- আহত হাজী আব্দুর রহিম মৃত্যুবরণ করার পর তার লাশ ময়না তদন্ত করতে বাঁধা সৃষ্টি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় পুলিশের সহযোগীতায় ও পুলিশ প্রহরায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ৩ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায়। নিহত হাজী আব্দুর রহিম-এর স্ত্রী খেলা বেগম ও তার ছেলে মাসুম আহমদ বলেন- ঘটনার পর মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু, পুলিশ কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন কনে নি। এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। জানা গেছে- জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসার সামনে মাটি ভরাট ও পানির রাস্তা বন্ধ করার ঘটনায় কমিটির লোকজনের সাথে প্রতিবেশীর বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার দিকে মাদ্রাসা‘র প্রিন্সিপালসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। উভয়পক্ষের ইট-পাটকেল, ধস্তা-ধস্তির একপর্যায়ে হাজী আব্দুর রহিম শারিরিক ও মানষিক ভাবে আঘাপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধান-এর স্বার্থে গত ২৪/০৪/২০২৫ইং মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু-ঐ দিন অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল পুনরায় জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে স্থানীয় চান মিয়াগংদের সাথে চরম সংঘর্ষে রুপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ব্যর্থ হলে যৌত্রবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চান মিয়াসহ আরো ৩জনকে গ্রেফতার করে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হাজী আব্দুর রহিম-এর মৃত্যু

শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হাজী আব্দুর রহিম-এর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৪:০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী আব্দুর রহিম (৭০)-সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে মৃত্যু বরণ করেছেন। আজ ৩ মে বাদ আছর মৃত: হাজী আব্দুর রহিম-কে শেরপুরস্থ তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

গুরুতর আহত আব্দুর রহিম-কে আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ( রেজিনং- ৪০৫০৩) ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ মে- ৩.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী হাজী আনহার আলী জানান- আহত হাজী আব্দুর রহিম মৃত্যুবরণ করার পর তার লাশ ময়না তদন্ত করতে বাঁধা সৃষ্টি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় পুলিশের সহযোগীতায় ও পুলিশ প্রহরায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ৩ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায়। নিহত হাজী আব্দুর রহিম-এর স্ত্রী খেলা বেগম ও তার ছেলে মাসুম আহমদ বলেন- ঘটনার পর মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু, পুলিশ কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন কনে নি। এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। জানা গেছে- জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসার সামনে মাটি ভরাট ও পানির রাস্তা বন্ধ করার ঘটনায় কমিটির লোকজনের সাথে প্রতিবেশীর বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার দিকে মাদ্রাসা‘র প্রিন্সিপালসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। উভয়পক্ষের ইট-পাটকেল, ধস্তা-ধস্তির একপর্যায়ে হাজী আব্দুর রহিম শারিরিক ও মানষিক ভাবে আঘাপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধান-এর স্বার্থে গত ২৪/০৪/২০২৫ইং মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু-ঐ দিন অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল পুনরায় জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায় কমিটির লোকজনের সাথে স্থানীয় চান মিয়াগংদের সাথে চরম সংঘর্ষে রুপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ব্যর্থ হলে যৌত্রবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চান মিয়াসহ আরো ৩জনকে গ্রেফতার করে।